বহিঃ বাংলাদেশে ছুটি ভোগ

ক। বহিঃ বাংলাদেশে ছুটি ভোগ সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম(বিধি-৪) ছুটি-৮৭/৫২(২০০), তারিখ: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭ এর বিধান নিম্নরূপ-

(১) অর্জিত ছুটি বাংলাদেশের বাহিরে কাটাইতে হইলে নির্ধারিত ছুটি বিধিমাল অনুযায়ী সরকারি কাজে বা প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার পূর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ছুটির মজুরী গ্রহণ করিতে হইবে। ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে গমনপূর্বক ছুটির দরখাস্ত করা বিধি বহির্ভূত।

(২) কোন সরকারি কর্মচারী ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে গমনপূর্বক ছুটির দরখাস্ত করিতে পারিবেন না এবং এইরূপ দরখাস্তের বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না, ফলে ঐ সময়ের জন্য তাহাকে বিনা অনুমতিে চাকরিতে অনুপস্থিতির দায়ে দায়ী হইতে হইবে। বিদেশে যাওয়ার পূর্বে দেশ হইতে অনুপস্থিতির সময়কাল নির্দিষ্ট থাকিতে হইবে এবং অফিসে পুনরায় যোগদানের তারিখ উল্লেখ থাকিবে হইবে।

(৩) বিদেশে ছুটি কাটানোর পর ভ্রমণ সময় যোগ হইবে না। 

(৪) বিদেশে অবস্থানকালে বিধি অনুযায়ী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যায় না।

খ। অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত কর্মকর্তাদের বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ মঞ্জুর করিবেন। অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যান্যদের বহিঃবাংলাদেশ ছুটি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় হইতে সময়ে সময়ে জারিকৃত আদেশ নির্দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে। (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং সম(বিধি- ৪)-বিবিধ ৭০/৯২/৫৩(৩০০), তারিখ: ৯ মার্চ, ১৯৯৩)

গ। সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ বিদেশে সরকারি কাজ শেষ হওয়ার পর কিংবা বহিঃবাংলাদেশ ছুটি শেষ হওয়ার পরও বিদেশে অতিরিক্ত অবস্থান করিয়া

থাকেন। অতঃপর দেশে ফিরিয়া ছুটির জন্য আবেদন করেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে অবস্থান সরকারি কাজে নানারূপ জটিলতার সৃষ্টি করে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে। যাহা সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনার জন্য কোন মতে কাম্য নয় । তাই অনিবার্য কারণে কেবল সীমিত ক্ষেত্র ব্যতীত এই ধরনের ছুটি প্রদান করা যাইবে না। (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং সম(বিধি-৪)-ছুটি- ৫/৯০-২০(২০০), তারিখ: ২৭ জানুয়ারি, ১৯৯২)

ঘ। বহিঃবাংলাদেশে ছুটি ভোগ সংক্রান্তে বাংলাদেশে সার্ভিস রুলস, পার্ট-১ এর পরিশিষ্ট-৮ এ নিরূেপ বিধান রহিয়াছে-

(১) বহিঃবাংলাদেশ ছুটি ভোগের অনুমতিপ্রাপ্ত কোন কর্মচারীর ক্ষেত্রে চাকরি হইতে অপসারণের যোগ্য কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, ছুটি শেষে তাহাকে পুনঃ কর্মে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হইবে না, তাহা হইলে এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে জানাইতে হইবে। (অনু-২৫) 

(২) সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িকভাবে শারীরিক বা মানসিকভাবে অযোগ্য কিনা, তাহা বহিঃবাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়ার মুহূর্তে নির্ধারিত করা সম্ভব না হইলে, তাহা পরে দূতবাসের মাধ্যমে তাঁহাকে অবহিত করিতে হইবে। উক্ত কর্মচারীকে ছুটি ফিরাইয়া আনার ক্ষেত্রেও তাহা দূতাবাসের মাধ্যমে জানাইতে হইবে। তবে ছুটি শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৩ (তিন) মাস পূর্বে তাহা দূতাবাসকে জানাইতে হইবে। (অনু-২৬) 

(৩) বহিঃবাংলাদেশে ছুটি ভোগরত অবস্থায় উক্ত কর্মচারীর স্থায়ী পদটি বিলুপ্ত করা হইলে তাহা দূতাবাসের মাধ্যমে জানাইতে হইবে। (অনু-২৭)

জ্যৈষ্ঠতা নির্ধারণের সাধারণ নীতিমালা

১) জ্যেষ্ঠতার শর্তাবলি:

সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে চাকুরীর বিভিন্ন শর্তাবলী সমূহের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা  কর্মচারীর জন্য জ্যেষ্ঠতা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকগুলি বিষয় সম্বন্ধেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠতা বিবেচিত হয়ে থাকে। বিষয়গুলি হল:

(ক) পদোন্নতি।

(খ) উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান।

(গ) দেশে/বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান।

(ঘ) গুরুত্বপূর্ণ পদে/স্থানে নিয়োগ ইত্যাদি।

যদি কোন কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা কোনক্রমে বাধাগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে তা তার চাকুরীর শর্তাবলীকে বিঘ্নিত (affect) করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৪০(২)(গ) ধারা মোতাবেক যে সকল ক্ষেত্রে চাকুরীর শর্তাবলী বিঘ্নিত হয় সে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রুলস অব বিজনেস ১৯৭৫ এর বিধি ৯(ভি) তে উল্লেখ আছে, যে কোন সরকারি কর্মকতা বা কর্মচারীর জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে সে বিষয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

২) জ্যৈষ্ঠতা নির্ধারণের সাধারণ নীতিমালা:

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ১/১৬/৬৯/ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০ খৃ: এর মাধ্যমে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারী করা হয়। সকল শ্রেণির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই নীতিমালা কর্ম কমিশনের সাথে পরামর্শ ক্রমে প্রণয়ন করা হয়। উল্লেখিত এই স্মারকটিতে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা প্রয়োগ সম্পর্কে নিম্নরূপ বক্তব্য রয়েছে:

(ক)   ১ম. ২য় ও ৩য় শ্রেণির সকল পদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার প্রযোজ্যতা থাকিবে। তবে কোন নির্দিষ্ট ক্যাডার বা চাকুরীর জন্য যদি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন জ্যেষ্ঠতার বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত ক্যাডার বা চাকুরীর জ্যেষ্ঠতা উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা দ্বারা নির্ধারিত হবে।

(খ)    কোন বিশেষ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের/ বিভাগের। তবে সাধারণ বা সুর্নিদিষ্ট নীতিমালার আওতায় জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, এমন সন্দেহজনক কেইস সিদ্ধান্তের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

[টীকা:

(১)    জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা জারীর সময় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতি প্রদানের কোন বিধান ছিল না। যার কারণে এখানে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ হয় নি। কিন্তু সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ইডি/রেড-১/এস-২৫/৮০-৯৭(২৫০) তারিখ: ২৪/১২/১৯৮০খৃ: এর মর্মানুসারে বিভিন্ন নিয়োগ বিধিতে ৪র্থ শ্রেণির পদ হতে ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতির বিধান সন্নিবেশিত করার কারণে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই নীতিমালার প্রয়োগে কোন বাধা নাই।

(২)    ‌নির্দিষ্ট কোন চাকুরী বা পদের জন্য জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত পৃথক কোন বিধিমালা, নীতি বা নিদের্শনা থাকলে তাই প্রযোজ্য হবে। অবশ্য ঐ বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনা সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত বিধিমালা, নীতি বা নির্দেশনায় উল্লেখিত নাই, এমন বিষয়ে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করতে হবে।

বিশ্লেষণ:

জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের জন্য সরকার স্মারক নম্বর ১/১৬/৬৯ ডি-২, তাং ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭০-এর মাধ্যমে সাধারণ নীতিমালা জারী করে। সরকার যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে বিশেষ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; সে সমস্ত ক্ষেত্র ব্যতীত সকল শ্রেণির (যথা-১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী) সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য  জ্যেষ্ঠতার এই সাধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সম্ভবপর নয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

(১)       যে সমস্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের পূর্বেকার উন্মুক্ত (Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত (Recruited) তারা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তুলনায় জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন।

(২)       যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে উন্মুক্ত(Open) বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চাকুরীর জন্য সুপারিশকৃত হন, সেক্ষেত্রে তাঁদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের গৃহীত পরীক্ষার মেরিট তালিকার ভিত্তিতে স্থিরকৃত হবে।

(৩)       উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন যদি কেবলমাত্র একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করেন তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ বা পদে যোগদানের তারিখ যাই পরে ঘটে সে তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। যদি কোন কর্মকর্তা পূর্ব হতে এডহক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরত থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে। অপরপক্ষে তিনি যদি একই পদে পূর্ব হতে চাকুরীতে না থেকে থাকেন; তাহলে তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশের পর সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর যোগদানের তারিখ হতে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্ত হবেন/গণনা করা হবে।

(৪)       এক বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরী হতে উদ্বৃত্ত হয়ে অন্য একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকুরীতে আত্মীকৃত হলে পূর্ব পদের চাকুরীর সম্পূর্ণ সময় আত্মীকৃত পদের জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা হবে। তবে উদ্বৃত্ত ঘোষিত কোন কর্মচারী যে সংস্থা হতে উদ্বৃত্ত ঘোষিত হয়েছে, সে সংস্থা হতে অবসর গ্রহণ সুবিধাদি গ্রহণ করে থাকলে আত্মীকৃত পদে তার পূর্ব চাকুরী জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা যোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে আত্মীকৃত পদে আত্মীকরণের দিন হতে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।]

জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা সংক্রান্ত সংস্থাপন মন্ত্রণালয় স্মারক নং ১/১৬/৬৯ ডি-২, তারিখ:  ৩১/১২/১৯৭০ খ্রি:-এর সাথে সংযুক্ত পরিশিষ্ট নিম্নরূপ:

(১)       পূর্বের উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকতাগণ, পরবর্তী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইকৃত/নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের চেয়ে জ্যেষ্ঠতর হবেন।

(২)       সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য/উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি দুই বা ততোধিক প্রার্থী সুপারিশকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের পারষ্পরিক জ্যেষ্ঠতা কর্ম কমিশন কর্তৃক স্থিরকৃত মেধা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।

(৩)       সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যদি একজন মাত্র প্রার্থীকে সুপারিশ করে; তাহলে সুপারিশের তারিখ অথবা তার পদে যোগদানের তারিখের মধ্যে যেটি পরে হবে সে তারিখ থেকে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।

(এ)  যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের তারিখ হতে গণনা করা হবে।

(বি)  যদি কোন ব্যক্তি একই পদে এডহক ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তার জ্যেষ্ঠতা সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশকৃত হয়ে তার পদে যোগদানের তারিখ হতে গণনা করা হবে।

……..

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ১৯৮৩

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ১৯৮৩

[এস আর ও নং ৩২-এল/৮৩/ইডি(আর-২) এস-১৯/৮১, তারিখ: ২৭/০১/১৯৮৩খ্রি: এর মাধ্যমে এই বিধিমালা জারি করা হয়।]

১) সংক্ষিপ্ত শিরোনাম: এই বিধিমালা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস জ্যেষ্ঠতা বিধিমাল ১৯৮৩ নামে অভিহিত হবে।

২) সংজ্ঞা: বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থি কিছু না থাকলে এই বিধিমালায়-

(এ) ‘জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা’ বলতে প্রাক্তন পাকিস্তান সরকারের কেবিনেট সেক্রেটারিয়েট(সংস্থাপন বিভাগ) অফিস স্মারক নং ১/১৬/৬৯-ডি-২, তারিখ: ৩১/১২/১৯৭০খ্রি: এর পরিশিষ্ট(annexure)-এ অন্তর্ভুক্ত নীতিকে বুঝাবে।

(এএ) ‘জুনিয়র স্কেল’ বলতে ৩০ জুন, ১৯৭৩ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০-১,০০০ টাকা, ৪৫০-১,০০০টাকা এবং ৩৭৫-১,০৫০ টাকার স্কেলকে বুঝাবে।

(বি) ‘সার্ভিসের সদস্য’(members of service) বলতে প্রাক্তন সংগঠিত সার্ভিসের সদস্য বুঝাবে।

(সি) ‘নিয়মিত নিয়োগ’ বলতে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধিমালার বিধান অনুসারে নিয়োগ বুঝাবে।

(ডি) ‘সার্ভিস ক্যাডার’ বলতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(পুনর্গঠন) আদেশ ১৯৮০ দ্বারা ঘোষিত সার্ভিস ক্যাডার বুঝাবে।

(ই) ‘নির্ধারিত পদ’ বলতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত পদসমূহ বুঝাবে।

(এফ) ‘সিনিয়র স্কেল’ বলতে ৩০ জুন, ১৯৭৭ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যমান ৮৫০-১,৬৫০ টাকা এবং ৭৫০-১,৫০০ টাকার স্কেল বুঝাবে।

টীকা: এস আর ও নং ৩৬৭-এল/৮৫/ইডি(আর-২) এস-১৯/৮১-১৬৭, তারিখ: ১৫/০৮/১৯৮৫খ্রি: দ্বারা ২ নং বিধিতে সংশোধিত আনয়ন করা হয়।

৩) সার্ভিস ক্যাডারের সদস্যদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের নীতি:

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সদস্যদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা নিম্নোক্ত নীতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে:

(এ) পূর্বে জুনিয়র ও সিনিয়র স্কেলে সংগঠিত ছিল না, এমন সার্ভিসের সদস্যদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা উক্ত সার্ভিসের সর্বনিম্ন পদে নিয়মিত নিয়োগের তারিখ হতে গণনা করা হবে।

(বি) পূর্বে জুনিয়র ও সিনিয়র স্কেলে সংগঠিত ছিল এবং উহার অধীনে প্রমোটিগণ সরাসরি সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছে, এমন সার্ভিসের সদস্যগণের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা সিনিয়র স্কেলের পদে নিয়মিত যোগদানের(continuous officiation) তারিখ হতে গণনা করা হবে।

(সি) পূর্বে জুনিয়র ও সিনিয়র স্কেলে সংগঠিত ছিল এবং উহার অধীনে প্রমোটিগণ জুনিয়র স্কেলে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছে, এমন সার্ভিসের সদস্যগণের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা জুনিয়র স্কেলে নিয়মিত যোগদানের তারিখ হতে গণনা করা হবে।

(ডি) সার্ভিস ক্যাডারের পার্শ্ব প্রবেশের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্তদের(lateral entrants) ক্ষেত্রে যে স্কেলে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে, ঐ স্কেলে নিয়োগের তারিখ হতে ঐ সার্ভিস ক্যাডারে পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।

(ই) সার্ভিস ক্যাডরের উচ্চতর পদে পার্শ্ব প্রবেশের বিধান নেই, এরূপ সার্ভিস ক্যাডারে ভবিষ্যতে নিয়োগ প্রাপ্তগণের সার্ভিস ক্যাডারের সর্বনিম্ন পদে নিয়োগের তারিখ হতে পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।

(এফ) সার্ভিস ক্যাডারে উচ্চতর পদে পার্শ্ব প্রবেশের বিধান আছে, এরূপ সার্ভিস ক্যাডারে ভবিষ্যতে নিয়োগপ্রাপ্তগণ সার্ভিস ক্যাডারের যে পদে যে তারিখে নিয়মিতভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে, ঐ তারিখ হতে পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে।

(জি) বাংলাদেশ কর্ম কমিশন বা নিয়োগের জন্য বাছাইয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একই ক্যাডার বা উপ-ক্যাডারে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির প্রার্থীগণ পরবর্তী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির প্রার্থীর পরে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তির প্রার্থীগণ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির প্রার্থীগণের উপরে জ্যেষ্ঠতা পাবে।

টীকা: এস আর ও নং ৩২৪-এল/৮৫/ইডি(আর-২)এস-১৯/৮১-১৫১ তারিখ: ০৮/০৭/১৯৮৫ খ্রি: দ্বারা(জি) উপ-বিধি সংযোজন করা হয়।

৪) এই বিধিমালায় বর্ণিত নাই এমন সব বিষয়: এই বিধিমালার ৩ নং বিধিতে বর্ণিত নাই, এমন সব বিষয়ে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে, অথবা, যেক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার সাধারণ নীতিমালাও প্রয়োগ করা যায় না, উক্ত ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে আদেশের দ্বারা সরকার যে ক্ষেত্রে যে নীতি নির্ধারণ করেন, তা প্রযোজ্য হবে।

টীকা: এস আর ও নং ৩৬৭-এল/৮৫/ইডি(আর-২)এস-১৯/৮১-১৬৭ তারিখ: ১৫/০৮/১৯৮৫ খ্রি: দ্বারা বিধিটি সংশোধন করা হয়।

৫) নির্ধারিত বিধিমালা কার্যকর থাকিবে: এই বিধিমালায় যা কিছুই বর্ণিত থাকুন না কেন, যদি কোন সার্ভিস ক্যাডার সদস্যদের জন্য পৃথকভাবে জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত কোন বিধিমালা প্রণীত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে উক্ত পৃথক বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

৬) জ্যেষ্ঠতার পুনর্বিবেচনা: যথাযথ বলে বিবেচিত হলে জ্যেষ্ঠতার যে কোন কেইস পুনর্বিবেচনার অধিকার সরকার সংরক্ষণ করে।

…………….

Index of Laws of Bangladesh(বাংলাদেশের আইন এর সূচীপত্র)

এ পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্যকর আইনসমূহের সূচী দেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন:

বাংলাদেশের আইন এর সূচীপত্র (বর্ণানুক্রমিক) 

বাংলাদেশের আইন এর সূচীপত্র(কালানুক্রমিক) 

বিভিন্ন প্রকারের ছুটি

বিভিন্ন প্রকারের ছুটি: 

ছুটি সম্পর্কিত নিয়মাবলি The Prescribed Leave Rules 1959, Fundamental Rules, Bangladesh Service Rules  এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উক্ত বিধিমালা ও বিভিন্ন আদেশের আওতায় নিম্নোক্ত প্রকার ছুটির বিধান রয়েছে।

(১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরণের ছুটি পাবেন, যথাঃ

(ক)   পূর্ণ বেতনে ছুটি;

(খ)    অর্ধ বেতনে ছুটি;

(গ)    বিনা বেতনে অস্বাভাবিক ছুটি (Without Pay Extraordinary Leave);

(ঘ)    বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave);

(ঙ)    সংগরোধ ছুটি (Quarantine Leave);

(চ)    প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave);

(ছ)    অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave); এবং

(জ)   নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) ।

(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করতে পারেন এবং ইহা বন্ধের দিনের সাথে সংযুক্ত করেও প্রদান করা যেতে পারে।

পূর্ণ বেতনে ছুটি:

(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্যদিবসের ১/১১ হারে পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করবেন এবং পূর্ণ বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হবে না। (৩) ………………………….এর পূর্ব অনুমোদন নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করতে পারেন।

(২) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হবে, ইহা হতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাইরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে।

অর্ধ বেতনে ছুটি:

(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্য দিবসের ১/১১ হারে অর্ধ বেতনে অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।

(২) অর্ধ-বেতনে দুই দিনের ছুটির পরিবর্তে, ডাক্তারী সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, এক দিনের পূর্ণ বেতনে ছুটির হারে গড় বেতনে ছুটিতে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে।

প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি: 

১) ডাক্তারী সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিত হইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরী জীবনে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।

(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে গড় অর্ধ বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।

অসাধারণ ছুটি: 

(১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশিলষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন তখন তাহাকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।

(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,

(ক) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি ………………………………………… এ চাকুরী করিবেন, অথবা

(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; অথবা

(গ) যে ক্ষেত্রে …………………………………. এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।

(৩) ছুটি মঞ্জুর করার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিত করিতে পারেন।

বিশেষ অক্ষতাজনিত ছুটি:

(১) কোন কর্মচারী তাঁহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, ………………………………..তাঁহাকে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি মঞ্জুর করিতে পারে।

(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন, সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণে অবিলম্বে …………. কে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।

(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া চিকিৎসা পরিষদ প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে, এবং চিকিৎসা পরিষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না; এবং উক্ত ছুটি কোন ক্রমেই ২৪ মাসের অধিক হইবে না।

(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।

(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ ২৪ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।

(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যে ক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।

(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ যথাঃ¾

(ক) উপরিউক্ত উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদসহ যে কোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ বেতন; এবং

(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ বেতন।

(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধানসমূহের প্রযোজ্যতা এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দুর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুকি বহির্ভূত অসুস্থতা বা জখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ অসুস্থতার দরচণ অক্ষম হইয়াছেন।

সঙ্গরোধ ছুটি:

(১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রামক ব্যধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তবে যে সময়ের জন্য উক্তরূপ নির্দেশ কার্যকর থাকে সেই সময়কাল হইবে সঙ্গরোধ ছুটি।

(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধ ২১ দিন অথবা অস্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ দিনের জন্য সঙ্গরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।

(৩) সংগরোধের জন্য প্রয়োজনীয় উপ-প্রবিধান (২) এ উলেলখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে উহা সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।

(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটিও মঞ্জুর করা যাইতে পারে।

(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না এবং যখন কোন কর্মচারী নিজেই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, তখন তাহাকে এইরূপ কোন ছুটি দেওয়া যাইবে না।

প্রসূতি ছুটি: 

(১) কোন কর্মচারীকে পূর্ণ বেতনে সর্বাধিক তিন মাস পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে এবং  উহা তাহার পাওনা ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া যাইবে না।

(২) প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর অনুরোধ কোন নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক সমর্থিত হইলে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের বিবেচনা মতে কর্মচারীর প্রাপ্য অন্য যে কোন ছুটির সহিত একত্রে বা সম্প্রসারিত করিয়া মঞ্জুর করা যাইতে পারে।

(৩) ………………………………… এ চাকুরী জীবনে কোন কর্মচারীকে দুইবারের অধিক প্রসূতি ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে না।

অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি:

(১) কোন কর্মচারী ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে এবং আরও ছয় মাস অর্ধ বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।

(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একমাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্ত্ততিমূলক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।

(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটিতে যাইবেন।

অধ্যয়ন ছুটি: 

(১) ………………………….এ তাহার চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে ………………………… অর্ধ বেতনে অনধিক বার মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন, যাহা তাহার ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।

(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সে ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে …………………………….. তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারেন।

(৩) পূর্ণ বেতনে বা অর্ধ বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ মঞ্জুরকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।

নৈমিত্তিক ছুটি: 

সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবেন কর্মচারীগণ মোট ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবেন।

ছুটির পদ্ধতি:

(১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব…………………কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।

(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন ………………..কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে হইতে হইবে।

(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।

(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীনে কর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধ ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারেন।

ছুটিকালীন বেতন: 

(১) কোন কর্মচারী পূর্ণ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।

(২) কোন কর্মচারী অর্ধ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।

ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করানো: 

ছুটি ভোগরত কোন কর্মচারীকে ছুটির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য তলব করা যাইতে পারে এবং তাহাকে অনুরূপভাবে তলব করা হইলে, তিনি যে কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিবার জন্য নির্দেশিত হইয়াছেন, উহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার তারিখ হইতে তাহাকে কর্মরত বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং এই এতদুদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য তিনি ভ্রমণ ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।

ছুটির নগদায়ন: 

(১) যে কর্মচারী অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, তিনি তাঁহার সম্পূর্ণ চাকুরীকালের জন্য সর্বাধিক বার মাস পর্যন্ত, প্রতি বৎসরে প্রত্যাখাত ছুটির ৫০% ভাগ নগদ টাকায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুমতি পাইতে পারেন।

(২) সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে উপ-প্রবিধান (১) এ উলেলখিত ছুটি নগদ টাকায় রূপান্তরিত করা যাইবে।

 


বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা প্রসংগে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়

বিধি শাখা-২

নং সম(বিধি-১) জ্যেষ্ঠতা-২৩/৯১-৫২(৫০০)  তারিখঃ

পরিপত্র

বিষয়ঃ বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা প্রসংগে।

বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি ভোগ করিলে ইহা চাকুরীতে জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা হইবে কিনা ইহার উপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ হইতে উত্থাপিত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিম্নোক্তভাবে স্পষ্টীকরণ করা যাইতেছেঃ

(১) বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি জ্যেষ্ঠতার জন্য গণনা করা হইবে না এইরূপ স্পষ্ট নির্দেশ বা কোন বিধি-বিধান নাই। বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি, পেনশন, গ্রাজুইটি এবং কোয়ালিফাইং সার্ভিস হিসাবে গণ্য করা হয় না। তবে, বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি চাকুরীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখিবার জন্য গণনাযোগ্য অর্থাৎ বিনা বেতনে ছুটি পূর্বের এবং পরের সময়ের জন্য যোগসূত্র (ব্রীজ) হিসাবে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ইহা জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে কোয়ালিফাইং সার্ভিস হিসাবে গণ্য হইবে না।

(২) কোন কর্মকর্তার অসাধারণ ছুটি লওয়ার প্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠতা তালিকায় তাহার অবস্থানের কোন হেরফের হইবে না। ফিডার পদে পদোন্নতির জন্য যে সমস্ত শর্ত আরোপ করা আছে, সেই সমস্ত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অসাধারণ ছুটি ভোগকারী কর্মকর্তাকেও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করিতে কোন বাঁধা নাই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, একজন কর্মকর্তা যদি ১৯৬২ সালে চাকুরীতে যোগদান করার ৩ বৎসর পরে তাহাকে ২ বৎসরের জন্য অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং আরও ২  বৎসর পরে তাহার পদোন্নতির প্রশ্ন আসে তাহা হইলে পদোন্নতির জন্য বিধি অনুসারে ৪বৎসর ফিডার পদে চাকুরীর শর্ত তাহার আছে বলিয়া পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হইতে পারেন এবং তাহার জ্যেষ্ঠতার তালিকার অবস্থান পরিবর্তন হইবে না। কিন্তু যদি উক্ত অসাধারণ ছুটি তাহাকে তাহার আচরণের জন্য শাস্তিমূলক ছুটি হিসাবে মঞ্জুর করা হইয়া থাকে তবে তিনি পদোন্নতির জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবেন না। কারণ পদোন্নতির জন্য ভালো চাকুরীর রেকর্ড  একটি পূর্বশর্ত।

২. ইহা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে জারী করা হইল।

 (আতাহার ইসলাম খান)

উপ-সচিব (বিধি)
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।

মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসংগে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
প্রশাসন-১ শাখা
(www.moestab.gov.bd)

০৫.১১০.০০০.০০.০০.০৮৮.২০১০-১৩৩
তারিখ: ২০ জানুয়ারি ২০১১ খ্রিস্টাব্দ/০৭ মাঘ ১৪১৭ বঙ্গাব্দ

বিষয়: মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসংগে।

সূত্র: এস, আর, ও নং ০৫/নথি নং ০৭.১৭.০০৮.০৮.০০.০০১.২০০০/আইন/২০১১

উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের বরাতে জানানো যাচ্ছে যে, সংরকার মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪(চার) মাস হতে বৃদ্ধি করে ৬(ছয়) মাসে উন্নীত করে গেজেট প্রকাশ করেছে। গেজেটের কপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এতদসংঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

সংযুক্তি: বর্ণনামত

(মো: আব্দুস সামাদ)
সিনিয়র সহকারী সচিব

—————————————————————————————